শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা
কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে নলছিটির বস্ত্র ব্যবসায়ীরা

কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে নলছিটির বস্ত্র ব্যবসায়ীরা

নলছিটি প্রতিনিধি ॥ করোনার ভয়াবহতা রাতের আধারের মতো সমাজের প্রতিটি জায়গায়কে গ্রাস করে যাচ্ছে। এখন নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখার জন্য সবাইকে তার সর্বোচ্চ শক্তিকে কাজে লাগাতে হচ্ছে। এ যেন বেঁচে থাকার জন্য মরনপন যুদ্ধ। বৈশ্বিক এ মহামারীর প্রভাব পড়েছে প্রতিটা ব্যবসার সাথে জরিত তৃনমূল মানুষদের উপর। বস্ত্র ব্যবসায়ীরা সাধারনত বছরের বাকি এগারো মাসের থেকে বেশ কয়েকগুন বেশি বিক্রি করে থাকেন ইদকে সামনে রেখে রমযান মাসের দিনগুলোতে। কারন ইদে প্রতিটা মানুষই তার প্রিয়জনকে নতুন পোশাক কিনে দিতে পছন্দ করেন। মুসলিম সমাজে রমজান মাসের দানকে আরও অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় তাই এসময় অনেকেই দান হিসেবে বন্ত্র সামগ্রী প্রদান করে থাকেন। নলছিটি উপজেলা শহরে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক বস্ত্রবিতানের দোকান রয়েছে। করোনার কারনে মানুষের আর্থিক অনটনে এমনিতেই তারা ব্যবসায়িক মন্দার মধ্যে আছেন। অনেকে বুক আশায় বেধে ছিলেন যে সামনের রমজানে হয়তো তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন। তবে হঠাৎ করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউন দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের কর্তারা লকডাউন কার্যকরে কঠোর অবস্থানে আছেন। দোকান খুললেই গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের জরিমানা,এছাড়া ক্রেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে। এ ব্যাপারে নলছিটির ষ্টেশন রোডে অবস্থিত মেসার্স সততা ক্লোথ স্টোরের পরিচালক মো. রিয়াজ হোসেন জানান, বিগত বছরগুলোতে শবে বরাতের পর থেকেই প্রতিদিন বিশ হাজার টাকা বা তার বেশি টাকার বস্ত্র বিক্রি করতাম। কিন্তু এবারে লকডাউন থাকায় দোকানই খুলতে পারছি না। গত বছরও একই অবস্থা হয়েছে পুরো রমজান মাস দোকান বন্ধ ছিল তাই এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। এক হিসেবে দেখা গেছে নলছিটিতে রযজান জুড়ে শুধু বস্ত্র ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ১৫ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন করে থাকেন যা পুরো রমজান মাসের হিসেবে কয়েক কোটি টাকার এক বিশাল অংক। এই লেনদেন নলছিটি উপজেলার গ্রামীন অর্থনীতিতে এক বিশাল বুস্ট হিসেবে কাজ করে। এক কথায় বলা যায় এখানের লোকাল অর্থনীতি এর অবদান অপরিসীম। নলছিটি বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও রমনি বস্ত্রালয়ের পরিচালক মো. নেওয়াজ হোসাইন বলেন, করোনা মহামারিতে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপের সাথে আমারও একমত কারন সবার আগে জীবন বাচাঁনো জরুরী কিন্তু সরকারের উচিত ছিল আমরা যারা খুচরা ব্যবসায়ী আছি তাদেরকে একটি সিস্টেমের মধ্য থেকে সীমিত পরিসরে পন্য বিক্রি করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। তিনি আরও বলেন অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত পরিসরে অনেক কাজ চলছে শুধু আমাদের বেলায় নেই। এছাড়া খুচরা বস্ত্র ব্যবসায়ীদের কোন ধরনের সরকারী প্রনোদনা দেওয়া হচ্ছে না বা দিলেও নলছিটির কোন বন্ত্র ব্যবসায়ী তা পাচ্ছেন না। যদিও আমরা করোনা বিস্তার রোধে দেওয়া লকডাউনে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার বলেন,সরকারি নির্দেশনা অবশ্যই সবাইকে মেনে চলতে হবে। তারা দোকান খুলতে পারছেন না এটা তাদের জন্য এই সময়ে অনেক বড় ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষতি। সরকারি প্রনোদনা যদি আসে আমি অবশ্যই তাদেরকে সহায়তা করার চেষ্টা করবো।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com